ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা পাননি এই সিটির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম। তিনি বলেছেন, শুনলাম নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম স্যার বলছেন যে, তাবিথ আউয়াল যে অভিযোগটা করেছেন সে বিষয়ে শোকজ করতে। আসলে এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
রোববার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, তাবিথ আউয়াল অভিযোগটা দিয়েছেন আমার কাছে। উনি তো কমিশনের কাছে অভিযোগ দেননি। বিষয়টি আমি তদন্ত করতে দিয়েছি। এ ব্যাপারে কমিশন আমাকে কিছু বলেওনি।
তিনি বলেন, কমিশন বা সরকারি অফিস চলে লিখিতভাবে, কথায় চলে না। নথিতে চলে বা লিখিতভাবে। আমি কমিশন থেকে লিখিতভাবে কোনো কিছু পাইনি।
তদন্ত প্রতিবেদন কতদিনের মধ্যে দিতে বলেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করে ৭ জানুয়ারির মধ্যে আমার কাছে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ম্যাজিস্ট্রেটদের আমি বলেছি প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে আমার কাছে প্রতিবেদন দিতে। তারা বলেছেন আমরা প্রতিদিন প্রতিবেদন দিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, আমি ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেছি আপনারা দৃশ্যমান থাকবেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনটি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেন। এ ক্ষেত্রে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যেতে তাদের সমস্যা হয়। এটা উনারা বলেছেন। আমরা বলেছি কোনো ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে যেন সত্যি অভিযোগ দেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থাকেন।
ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আচরণবিধির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা আচরণবিধিতে যা আছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।