সরকার তামাশার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার-সামরিক-ফ্যাসিবাদকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বামপন্থী সংগঠন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, নির্বাচন হচ্ছে এই সরকারের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার একটি লেভেল মাত্র।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান এই নেতা এমন মন্তব্য করেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জোনায়েদ সাকি। দলীয় নির্বাচন হওয়ার কারণে এবারে তিনি অংশ নিতে পারছেন না। যদিও উচ্চ আদালত নির্বাচনে অংশ নিতে সাকির পক্ষে রায় দিয়েছেন। মূলত, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকার কারণে অনুমতি মেলেনি নির্বাচন কমিশন থেকে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের কঠোর সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই সরকার তামাশায় রূপ দিয়েছে। সরকারের পাতানো নির্বাচনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে চলছে সরকার।’
নির্বাচনে নিজের অংশগ্রহণ করতে না পারার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিলেও সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছে। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, সরকার তা ভয় পায়। গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। নির্বাচনের আগেই সরকার দলীয় দুই সিটির প্রার্থীকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায় নির্বাচন আসলে কেমন হবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ কতটুকু থাকবে।’
সম্প্রতি বামজোটের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা যেখানে আছি, তার চেয়ে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছি। সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা দমন-পীড়ন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সরকারের সঙ্গে যেহেতু জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই, সেহেতু ভিন্ন মতকে তোয়াক্কা করতে পারছে না। রাষ্ট্রীয় সমস্ত শক্তিকে দলীয় শক্তিতে রূপ দিয়েই চলতে হচ্ছে তাদেরকে। সরকার মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাজত্ব কায়েম করছে এবং এই ভয়ের রাজনীতি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।