নার্স ও পুলিশের সদস্যসহ বরিশালে নতুন করে ৩৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বরিশাল জেলায় মোট ১ হাজার ৭২০ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
এছাড়া রোববার (০৫ জুলাই) ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন। ফলে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় মোট ৪৭০ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া মৃত্যুবরণকারী ২ জন ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ আসায়, এ জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে রোববার (০৫ জুলাই) দিনগত রাতে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় নতুন আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪ জন, জেলা পুলিশের ১ জন, আরআরএফ-এর ১ জন ও র্যাব-৮ এর ৩ জন সদস্য রয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১ জন স্টাফ, শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১ জন চিকিৎসক, ২ জন নার্স, ২ জন স্টাফ এবং গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ জন চিকিৎসক ও উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। এছাড়া বরিশাল নগরে অবস্থিত ব্যাংকের ১ জন ও নির্বাচন অফিসের ১ জন স্টাফ রয়েছেন।
বাকিদের মধ্যে বরিশাল নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড, আলেকান্দা, নতুন বাজার, রুপাতলী, মুসলিম গোরস্থান রোড, কাউনিয়া ও ফলপট্টি এলাকার মোট ৯ জন বাসিন্দার করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অপরদিকে বানারীপাড়া, উজিরপুর ও বরিশাল সদর উপজেলার ১১ জন বাসিন্দার করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান জানান, রিপোর্ট পাওয়ার পর পরই নতুন শনাক্ত হওয়া ওই ৩৯ জন ব্যাক্তির অবস্থান অনুযায়ী তাদের লকডাউন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বরিশাল জেলায় মোটা আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬১ জন নারী ও ১ হাজার ২৫৯ জন পুরুষ রয়েছেন। যাদের মধ্যে শূন্য থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৮৪ জন, ২০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত ১ হাজার ৩১৩ জন এবং পঞ্চাশোর্ধ ৩১৭ জন ব্যক্তি রয়েছেন।
এছাড়া গোটা জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল নগরে ১ হাজার ২৯৪ জন, সদর উপজেলায় ২৬ জন, বাবুগঞ্জে ৭৭ জন, উজিরপুরে ৭৮ জন, মেহেন্দীগঞ্জে ৩০ জন, বাকেরগঞ্জে ৪৮ জন, হিজলায় ১৯ জন, মুলাদীতে ৩৮ জন, বানারীপাড়ায় ৪০ জন, আগৈলঝাড়ায় ২০ জন এবং গৌরনদীতে ৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
অপরদিকে বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক নার্সসহ মোট ২২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা প্রশাসনের ৩ জন কর্মকর্তা, ৭ জন কর্মচারী এবং ১ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। আর জেলায় মোট মৃত্যু হওয়া ৩০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ বরিশাল নগরের ১২ জন এবং বাবুগঞ্জ উপজেলার ৫ জন বাসিন্দা রয়েছেন।