প্রায় দুই বছরের বাণিজ্যযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে চলতি মাসের মাঝের দিকে প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে চিরবৈরী দুই বিশ্ব শক্তি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন আংশিক নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। পরে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি চীন সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে ওয়াশিংটন এবং বেইজিং যৌথ ঘোষণা দেয়। এই চুক্তির আওতায় ওয়াশিংটন চীনের বেশ কিছু আমদানি পণ্যে শুল্ক বাতিল কিংবা হ্রাসের মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। অন্যদিকে, বেইজিংও যুক্তরাষ্ট্রের খামারি পণ্য ক্রয় এবং বাণিজ্যে সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে এই চুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কোনও পক্ষই। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন খামার পণ্য আরও বেশি পরিমাণে কিনবে বেইজিং। কি পরিমাণে মার্কিন খামার পণ্য কেনার শর্ত এই চুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে সেব্যাপারে চীনা কর্মকর্তারা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি।
তবে কৌশলগত কারণে বাণিজ্যচুক্তির খুঁটিনাটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আমি আগামী ১৫ জানুয়ারি চীনের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক এবং প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি।
“এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত হবে। চীনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।”
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, খাদ্য ও খামার পণ্য, আর্থিক পরিষেবা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ের সুরক্ষা এবং বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটজার বলেন, নতুন চুক্তি অনুযায়ী আগামী দুই বছরে নির্মাণ সামগ্রী, কৃষিপণ্য, জ্বালানি সামগ্রী ও অন্যান্য সেবা সরবরাহকারীদের কাছে থেকে চীন কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্য কেনার অঙ্গীকার করেছে।