জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে জেলা কারাগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। এরআগে ২০১৮ সালে বন্দর থানায় পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদের জামিন আবেদন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালত মঞ্জুর করেন। এ মামলায় তাঁর গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিল।
আদালতে মামুনের পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মোজাম্মেল মল্লিক শিপলু প্রমূখ।
এরআগে ৭ জানুয়ারি বিজয় দিবসের র্যালি থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মামলায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ ৭ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। কিন্তু বন্দর থানায় নাশকতার এ মামলায় জামিন না থাকায় তিনি কারামুক্ত হতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরপরই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ (৪৮), মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে (৫৫) নিজবাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মামলায় উল্লেখিত ঘটনাস্থল থেকে আটক ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন, নুর এলাহী সোহাগ ওরফে রাকিব (৩৭), মো.স্বপন মিয়া (২০), মো.কামরুল হাসান (২৯) এবং মামুন (২০)। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি হিসেবে হোসেন কাজলকে নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে