দীর্ঘদিন ধরে কানের অজ্ঞাত রোগে ভুগছে ১২ বছর বয়সী শাহজালাল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুলন্ত কানও বড় হয়ে যাচ্ছে। শাহজালাল পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার ধুলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী গ্রামের মো. শাহজাহান মুন্সীর ছোট ছেলে। এক বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।
চিকিৎসকরা বলছেন, তার কানের একটি অপারেশন করলেই সে সুস্থ হয়ে যাবে। অপারেশনে ব্যয় হবে অনেক টাকা। তার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই পরিবারটি এখন তাদের সর্বকনিষ্ঠ ছেলের এমন নিয়তি মেনে নিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে কান ততই বড় হচ্ছে তার। যত তাড়াতাড়ি অপারেশন করা যায় ততই ভালো হবে। দেরি করলে কানের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আবার এ রোগে মস্তিস্কে প্রভাব পড়তে পারে।
শাহজালালের মা তোফেয়া বেগম জানান, শাহজালাল জন্মের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত। তখন কানের উপরে ছোট একটি গোটার মতো ছিল। আস্তে আস্তে বড় হয়ে কানসহ ঝুলে পড়ছে। পাঁচ বছর বয়সের সময় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা ১১ হাজার টাকা চুক্তিতে অপারেশন শুরু করেছিলেন কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত বের হওয়ার কারণে অপারেশন বন্ধ করে দেন। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। টাকার অভাবে তা আর হয়ে উঠেনি।
চাপলী বাজারের চায়ের দোকানদার বাবা শাহজাহান বলেন, শাহজালাল স্কুলে যেতে চায় না। স্কুলে গেলে অন্য শিশুরা ভয় পায়। আবার কেউ কেউ খারাপ মন্তব্য করে। স্কুলে দিয়ে আসলে কতক্ষণ পরে চলে আসে। অন্যান্য শিশুদের চিন্তা করে শিক্ষকরাও আগ্রহ দেখায় না। তাই এখন আমার সঙ্গে দোকানে থাকে।
তিনি আরও বলেন, যখন কানের ভেতরে চুলকায় তখন অস্বভাবিক আচরণ করে।
শাহজালালের মা মোসা.তোফেয়া বেগম বলেন, তার চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হবে। আমাদের পক্ষে খরচ বহন করা সম্ভব নয়। ছেলের চিকিৎসায় তিনি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন। শাহজালালকে সহযোগিতা করা যাবে ০১৭৪৬-৬৬৮১১৭ নম্বরে।