কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় দশম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম (৪৮) এবং তার দোকানের কর্মচারী মোহাম্মদ নওশাদ (২২)।
পুলিশ জানায়, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল একজন স্ট্যাম্প ভেন্ডার। উপজেলা পরিষদের সামনেই তার স্টাম্পের দোকান রয়েছে। শহিদুল উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদকও। ধর্ষণের শিকার ওই দুই স্কুলছাত্র সংগীত শিল্পী। সেই সুবাদে পূর্ব পরিচিত হওয়ায় গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে শহিদুল ওই দুই ছাত্রকে ডেকে তার দোকানে নিয়ে আসেন। সেখানে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর তাদের ধর্ষণ করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জ্ঞান ফিরলে একজন বাড়ি চলে যায়। অন্যজনের জ্ঞান না ফেরায় তাকে দোকানের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রেখে চলে যান শহিদুল। পরে ঘটনা জানাজানি হলে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা এসে তালা ভেঙে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ফেরদাউস বাংলা২৪ বিডি নিউজকে জানান, রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ধর্ষণের শিকার ওই দুই স্কুলছাত্র কুতুবদিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে দুই ছাত্রের অভিভাবকদের ডেকে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। বৃহস্পতিবারই অভিযুক্ত শহিদুল ও তার কর্মচারী নওশাদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আটক দু’জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে আদালত দুই স্কুলছাত্রকে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেন বলেও জানান ওসি
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আটক দু’জনকে অভিযুক্ত করে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন এক ছাত্রের মা।