নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে টিভি-ফ্রিজ উৎপাদনকারী কনকা ইলেকট্রনিক্সের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে উপজেলার মোগড়াপাড়ার সাদীপুরের পুরান টিপুরদী এলাকায়। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তাৎক্ষনিক জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করে। অগ্নিকান্ডের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া থেকে মদনপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের সোনারগাঁও, বন্দর, ডেমরা স্টেশনের ১২টি ইউনিট ও ৮০ জন কর্মী। এতে সহায়তা করে পুলিশ, র্যাব, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয়রা।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, সকালে কাজে যোগদান করার পরপরই আগুন লাগে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার আতিক ও আরেকজন (নাম জানা যায়নি) আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ‘সকাল শ্রমিকেরা যখন কাজে যোগদান করছিল তখন কারখানার তৃতীয় তলায় এসি মেরামতের রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আর মুুহূর্তে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে শ্রমিকেরা দৌড়ে কারখানা থেকে বের হয়ে আসে। তবে কেউ ভেতরে আটকে ছিল কিনা জানা যায়নি। তাছাড়া আগুন কীভাবে লেগেছে কেউ কিছু বলতে পারেনি। অগ্নিকান্ডে কারখানার যন্ত্রাংশ, কাঁচামালসহ ভেতরের অধিকাংশ মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনের তাপে ভবনের সকল জানালার কাঁচ ভেঙ্গে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে প্রধান ফটক নির্মাণাধীন থাকায় ভেতরে প্রবেশে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে তাই আমাদের গাড়ি ভেতরে প্রবেশে সমস্যা হয়। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষকণিকভাবে জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ডাম্পিং চলছে। পুলিশ ও স্থানীয়রাও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তা করেছেন।
সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ সুজন কুমার হাওলাদার জানান, ঘটনাস্থালে সোনারগাঁও, বন্দর, ডেমরা স্টেশনের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।