দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা ঢাকায় আসছে। এতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচাল হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
সোমবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ অভিযোগ করে।
ওই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার গোপীবাগে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে মারামারি ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল চলে যাওয়ার পর সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গতকালের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য হলো, এই সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ঢাকায় ঢুকে পড়েছে। তারা নির্বাচনের সময় নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে। আমরা যেন ব্যবস্থা নিই।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘এত বড় একটা শহরে ১৫ লাখ ভোটারের মধ্যে দুটো ঘটনা ঘটেছে। এতে নির্বাচনকে ব্যাহত করা, বানচাল করা বা বিনষ্ট করার কোনো কারণ ঘটেনি। পরিস্থিতির অবনতি ঘটারও আশঙ্কা নেই।’
তার বক্তব্য, ‘আমরা তো সবসময়ই বলি এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। এ ঘটনাগুলো হঠাৎ করে একটা স্থান থেকে সৃষ্টি হয়। আমরা আগে থেকে বললেই যে থেমে যাবে, তা নয়।’
আওয়ামী লীগের আগে ইসির সঙ্গে বিকেলে বৈঠক করে বিএনপি। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘বিএনপি চলে যাওয়ার পরে ওসির সঙ্গে কথা বললাম। ওসি বলল, বিএনপি আমাদের কাছে আসেনি। তারা মামলা দেয়নি।’
ফুটপাতের ওপরে কোনো নির্বাচনি ক্যাম্প থাকলে তা তুলে দেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।
নূরুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, তাদের প্রার্থীদের হয়রানি করা হয়। হয়রানি করার মতো কোনো আলামত আমরা দেখিনি।’