শিক্ষক মতিয়ার রহমান মিলনকে মারধরের ঘটনায় জামিন পেয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম ভোলা।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান ভোলাসহ দুজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এ সময় ভোলার আইনজীবীরা জামিন প্রার্থনা করলে মঞ্জুর করেন বিচারক।
সিংড়া থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার দামকুড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান মিলন বুধবার (০১ জানুয়ারি) কালীগঞ্জ বাজারের স্কুল রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় চৌগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ভোলা এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলনের ওপর হামলা চালায়।
সেই সঙ্গে মিলনকে বেধড়ক মারপিট করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন মিলনকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার দিন রাতেই প্রধান শিক্ষক মিলন বাদী চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলাসহ সাতজনকে আসামি করে সিংড়া থানায় মামলা করেন।
ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাহেদুল ইসলাম ভোলা এবং তার ভাগিনা মাসুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
এ বিষয়ে দামকুড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান মিলন বলেন, বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ভোলাসহ কয়েকজন আমাকে হত্যাসহ মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার পরও আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে তারা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জাহেদুল ইসলাম ভোলা বলেন, মিলন স্কুলের কেউ না। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ করেছি। তাকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এরপরও স্কুলে বিভিন্নভাবে ঝামেলা তৈরি করছেন মতিয়ার রহমান।
এ বিষয়ে সিংড়া থানা পুলিশের ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর পর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।