মাদারীপুরে মাদক মামলায় আসামিদের ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছে আদালত। আসামিদের সংশোধনের জন্য এক বছর করে দুই আসামির অন্যরকম সাজা দেয়া হয়। সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এক আসামিকে প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ে পাঠদান ও অপর আসামিকে পৌরসভার মালীর কাজ করার নির্দেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কালকিনি উপজেলার ডাসার থানাধীন দক্ষিণ ডাসারের সৈয়দ হারুণ অর রশীদের ছেলে সৈয়দ ফয়সাল হোসেন রুবেজ ও একই এলাকার কাজী আবুল বাশারের ছেলে কাজী সজল।
আরো পড়ুন :গাজীপুরে চা-নাস্তা দিতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ খৈয়ারভাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালায় জেলার গোয়েন্দা পুলিশের দল। এ সময় ১শ’ ইয়াবাসহ রুবেজকে ও সজলকে আটক করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই এনামুল হক মণ্ডল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস দুই আসামিকেই এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। তবে এ দণ্ড তারা কারাগার ছাড়াই ভোগ করবে।
এক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য সৈয়দ ফয়সাল হোসেন রুবেজকে মাদারীপুরের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধীদের (প্রসিসেস) পাঠদানে সহায়তা করা ও অপর আসামি কাজী সজলকে মাদারীপুর পৌরসভার মালীর কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়। যা আগামী এক বছর পর্যবেক্ষণ করবেন জেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তারা। প্রতি তিনমাস অন্তর সমাজসেবা কর্মকর্তারা আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের কর্মকাণ্ড বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
মাদারীপুর জজ কোর্টের পিপ মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, মূলত আসামিদের সংশোধনের জন্য আদালত এ রায় প্রদান করেছে। আগামী এক বছর আদালতের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে আদালত পরবর্তীতে নতুন পদক্ষেপ নেবে।