মেয়র নির্বাচিত হলে ৯০ দিন নয়, ৯০ ঘণ্টার আগেই সেবার কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানী গুলশানের একটি হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ৯০ দিন পর কার্যক্রম শুরু করতে হয়। কিন্তু আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, ৯০ দিন নয় মেয়র নির্বাচিত হলে ৯০ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হবে না। প্রথম দিন থেকেই সেবা কার্যক্রম শুরু করব।’
ঢাকা শহরের ডেঙ্গু এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাস থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা সচেতনতায় কাজ করেছি। যদি ১ এপ্রিল থেকে ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে আমরা প্রথমে লার্ভা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এটা প্রথম দিন থেকে শুরু করব। দূষণের বিষয়ে হাইকোর্ট ৯টি নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছে। তাই সেসব নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ আমরা নিব।’
বাড়ি ভাড়া বাড়লেও বাড়ছে না আয়, মেয়র হলে কি উদ্যোগ নেবেন- জবাবে তাবিথ বলেন, ‘আমাদের ব্যয় বাড়লেও সে তুলনায় আয় বাড়ছে না। তাই সে জন্য আমরা মধ্যবিত্তদের এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য চিন্তা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যেটি সবার জন্য গ্রহণযোগ্য এবং মঙ্গলজনক।’
ক্ষমতায় আসলে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের বিষয়ে বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ‘আমরা এখনো দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আছি। তাই দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা ১ তারিখে নির্বাচিত হয়ে নগরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করব। আর এ জন্য যেটি প্রয়োজন সেটির জন্য যা যা করণীয় আমরা করব।’
নারীবান্ধব নগর গঠনে কী ভূমিকা পালন করবেন- জবাবে তাবিথ বলেন, ‘নারীদের জন্য সড়কে নিরাপত্তা, পরিবহন সহজলভ্যতাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। মেয়র নির্বাচিত হলে আমরা অবশ্যই নারীদের জন্য সেসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করব।’
সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে, কিন্তু সমাধানে প্রয়োজন সমন্বয়। সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ নেই ইশতেহারে এবং দুয়েকটি দফা ছাড়া বাকি সবগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজন সমন্বয়। নির্বাচিত হলে সমন্বয়ের বিষয়ে কী উদ্যোগ নেবেন- জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ভোটারবিহীন সরকারের অধীনে সমন্বয়হীনতা থাকলেও আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসব। তাই আমরা সমন্বয়ের জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তার সবটুকুই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করব।’
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এবং বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।