‘একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার কারণে আদালতের ওপর বিএনপি-জামায়াতের অনেক ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভের কারণেই সম্প্রতি আদালতে তারা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।’
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি দেশের উচ্চ আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও হট্টগোলের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে যখন আদালতের কার্যক্রম চলছিল, সেই সময় বিএনপি-জামাতপন্থি চিহ্নিত পরিচিত ও অপরিচিত কিছু ব্যক্তি কালো গাউন পরে আদালতে হট্টগোল, ধস্তাধস্তি এবং ভাঙচুর করেছেন। আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত করেছে। তাদের এই কার্যক্রমের ফলে বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনার নজির এর আগে কখনও ঘটেনি।
তিনি বলেন, আদালতে (বিএনপি-জামায়াত) এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন, আদালতের ওপর তাদের অনেক রাগ এবং ক্ষোভ রয়েছে। তাদের এই রাগ-ক্ষোভের কারণ হল এই আদালত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, এই আদালত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছে, এই আদালত যারা অবৈধভাবে সামরিক অভ্যূত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে তাদের শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এ কারণে আদালতের ওপর বিএনপি-জামায়াতের এত রাগ এবং ক্ষোভ। তবে তাদের এই রাগ ও ক্ষোভের সঙ্গে দেশের মানুষ কখনই একাত্ম নয়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের এমন কার্যক্রমে প্রধান বিচারপতিসহ আমরা দেশবাসী বিস্মিত হয়েছি। এ ঘটনা আদালতের স্বাধীনতা, পবিত্রতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি একটি স্পষ্ট আঘাত। এই আঘাত যারা করেছেন আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, গণসংগীত শিল্পী পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, নাট্যকর্মী ঝুনা চৌধুরী, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের কামাল বায়েজীদ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের আজহারুল হক আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।