ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, একটা কন্ট্রোল ইউনিট, দুইটা ব্যালট, একটা ডিসপ্লে- এগুলোর খরচ দুই লাখ ছয় হাজার টাকা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইভিএমের খরচের এ তথ্য জানান কামাল উদ্দিন।
ইভিএমের ডিসপ্লেতে দেখা যায়, এটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের পণ্য।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়ে থাকে। তাদের ভালো মানের প্রতিটি ইভিএমে খরচ ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রতিটি ইভিএমে যত খরচ করা হচ্ছে, এত টাকা বিশ্বের কোথাও খরচ করা হয় না।
তবে ইসির পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের ইভিএম বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয়। এ জন্য খরচও একটু বেশি।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ উপলক্ষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ইভিএমে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ সময় ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক ছাড়াও আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এ এইচ এম আবদুর রহিম খান ও সিস্টেম ম্যানেজার ফারজানা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ এইচ এম আবদুর রহিম খান বলেন, ‘এই ইভিএম বাংলাদেশে তৈরি। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশের পার্টস নিয়ে ইন্টিগ্রেট করছে। ইভিএমের যে সফটওয়ারগুলো দরকার, সেগুলো প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডেভেলপ করে। তার মানে এই ইভিএমকে বাংলাদেশেরই ইভিএম বলা যায়।’