স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয়দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজধানীর ধানমন্ডি ও সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, রুম্পা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের রহস্যের কূল-কিনারা করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত যে বা যারা আছেন তাদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়। পাশাপাশি এই আন্দোলন প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়-ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। যেন সব শিক্ষার্থী ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
মানববন্ধনে রুম্পার সহপাঠীরা বলেন, আর যেন কোনো রুম্পাকে দেখতে না হয়। এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র বিচার মৃত্যুদণ্ড। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলেই পরবর্তীতে আমরা রক্ষা পাবো, না হলে এরকম নির্মম হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ছাইফুল ইসলাম মাছুম বলেন, শুরু থেকেই এই হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফেনীর নুসরাত হত্যার ঘটনাও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হয়েছিল। অন্য কোনো ইস্যুতে যেন রুম্পা হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে।তিনি আরও বলেন, চারিদিকে এত হত্যা, খুন-ধর্ষণের ভিড়ে আমরা শুধু স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আর কিছু নয়।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ১৯ থেকে ১৫ নম্বর রোড পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাতটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।