জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মিয়ানমারে নির্যাতিত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বে বিরল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি সুন্দর জীবন সুরক্ষিত করতে ইতোমধ্যে পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও সেবা নিশ্চিত করেছে সরকার।
রোববার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কক্সবাজারের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনায় রেখে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য স্থানীয় জনসাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টিও ভাবতে হবে।
শিরীন শারমিন বলেন, পাহাড় কেটে আবাসস্থল তৈরি ও অন্যান্য কারণে পরিবেশগত ক্ষতি, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ব্যবসা-বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন স্পিকার।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণের সম্মিলিত প্রয়াসের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দীর্ঘ সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রয়েছে। এ পরিবেশ অব্যাহত রাখতে সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পরে তিনি প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় ‘অরুণোদয়’ পরিদর্শন করেন এবং প্রতিবন্ধীদের পরিবেশিত অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম, সাইমুম সরোয়ার কমল, আশেকউল্লাহ রফিক, শাহীন চৌধুরী, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কক্সবাজারের ডিজিএফআই প্রধান, কক্সবাজারের এনএসআই অতিরিক্ত পরিচালক, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি, পৌর মেয়র, ইউএনও, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।