সমান ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট করে নিয়ে রাজশাহী রয়্যালস এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পৌঁছে গেছে শেষ চারে। ঢাকা প্লাটুনও ‘সুপার ফোরের’ খুব কাছে। মাশরাফি-তামিমদের সংগ্রহ ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। খালি চোখে ঢাকার অবস্থান তিন নম্বরে এবং মনে হচ্ছে কোচ সালাউদ্দীনের শিষ্যদেরও নকআউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত; কিন্তু আসলে কি তাই?
কাগজে-কলমে সে সম্ভাবনা অনেক বেশি হলেও বাস্তবের হিসেব কিন্তু তা বলে না। কারণ, এখনো ঢাকার খেলা বাকি আছে আরও ৩টি। যার দুটি রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে। অন্যটি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, খুলনা টাইগার্সও ঢাকার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। মুশফিক বাহিনীর ৯ ম্যাচে পয়েন্ট ১০। অর্থাৎ খুলনাও সেরা চারের দৌড়ে আছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
কাজেই এখনো নিশ্চিত বলে কিছু নেই। শেষ মুহূর্তে বদলে যেতে পারে অনেক হিসাব নিকাশ। সে কারণেই খুব সিরিয়াস ঢাকা প্লাটুন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে অনুশীলন হলো চুটিয়ে।
প্র্যাকটিসের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে এসে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন জানালেন তারা আসলে টুর্নামেন্টের চালচিত্র আর লিগ টেবিল নিয়ে তেমন ভাবছেন না। তাদের ভাবনা হলো ম্যাচ প্রতি।
তবে সালাউদ্দীন রংপুর রেঞ্জার্সকে নিয়ে খুব ভাবতে নারাজ। তার কথা, ‘যদিও আমার মনে হয়, রংপুরের রান রেটটা খুব বেশি ভালো নয়। এরপরও বলবো যে টুর্নামেন্টে এখনও অনেক কিছু হতে পারে।’
টুর্নামেন্ট এখন কি অবস্থায় আছে? জানতে চাওয়া হলে ঢাকা কোচের জবাব, ‘আসলে জানি না। এখনও অনেকগুলো খেলা বাকি আছে। গুরুত্বপূর্ণ খেলা। আামরা পরেরটা পরেরটা নিয়েই চিন্তা করছি। তবে আমার মনে হয় যে, পরবর্তী ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর টুর্নামেন্টে এমন হয় যে, আপনি যদি টি-টোয়েন্টিতে মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলবেন তখন কামব্যাক করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমি মনে করি প্রতিটি ম্যাচই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর, বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা। ওই ম্যাচ নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস ঢাকার প্রশিক্ষক। সামনের ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস যেন ঠিক থাকে। আমরা হয়তো হারতেও পারি, জিততেও পারি। তবে আমার মনে হয়, খেলোয়াড়দের যেন আত্মবিশ্বাস না কমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’