নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে ইসলাম ধর্মের ছেলে ও হিন্দু ধর্মের মেয়ের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় পুলিশ ছেলে-মেয়েকে আটক করে রাস্তার উপরেই মারধর করলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে আটকে রাখা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় চকলেট ফ্যাক্টরীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ জানান, ব্যাংক কলোনী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গিরের ছেলে রফিক (২১) ও স্থানীয় এক হিন্দু মেয়ের (১৫) মধ্যকার প্রেম ছিল। সম্প্রতি তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং কোর্ট থেকে বিয়ের অনুমতি নিয়ে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি দুই পরিবারকে একত্রিত করে এবং তাদের মতামত জানতে চায়। এসময় দুই পরিবারের সদস্যরাই রাজি হয়।
রোববার রাত ৯টায় সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমানের নেতৃত্বে ৩জন সাদা পোশাকের কনস্টেবল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে ছেলে-মেয়েকে খুঁজতে থাকে এবং কারা তাদের বিয়ে দিতে চাই, তাদেরকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে পঞ্চায়েত কমিটি বলে যে, আমরা বিয়ে দেই নাই তারাই কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে।
পরবর্তীতে পুলিশের সদস্যরা ছেলে-মেয়ে দুইজনের হাত পেছনে দিয়ে হাতকড়া লাগিয়ে রাস্তার উপর মারতে মারতে নিয়ে যেতে থাকে। রাস্তার উপর ছেলে মেয়েকে মারতে দেখে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে আটকে একটি দোকানের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে দোকানের মধ্যে আটকে রেখে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে বলে। পরে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল গিয়ে আটকে রাখা পুলিশ সদস্যদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন জানান, ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিল। সেটার সমাধান করা হয়েছে।