‘ঠিকাদারের কাজের ধীরগতিতে চালু করা যাচ্ছে না মাদারীপুর সদরের আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করে সময় সংবাদ। ফলে এ গণমাধ্যমের বার্তাপ্রধান, প্রধান বার্তা সম্পাদক ও জেলা প্রতিবেদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মানহানি মামলা করা হয়।
এ মামলার প্রতিবাদে রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ঢাকাস্থ মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সমিতি। এ সময় বক্তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, আরেক অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়া, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সাদত সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এসময় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজী, সহ-সভাপতি সিকদার আবদুস সালাম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মান্নান মিয়া, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবুল খায়ের খানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর ‘ঠিকাদারের কাজের ধীরগতিতে চালু করা যাচ্ছে না মাদারীপুর সদরের আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল’- এমন খবর সম্প্রচার করে সময় সংবাদ। এরই প্রেক্ষিতে ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লার পক্ষে ভিত্তিহীন ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন শহীদুল ইসলাম খান।
৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আড়াইশ শয্যার সদর হাসপাতালটির বর্ধিত দেড়শ শয্যার নির্মাণকাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএসইসিএল। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও তা করেনি। দ্বিতীয় দফায় একই বছরের জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সময় টিভিতে সংবাদ প্রচারকে সামনে রেখে তড়িঘড়ি করে গোপনে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর কাগজ হস্তান্তর করা হয়। তবে বাস্তবে এখনো চালু হয়নি বর্ধিত দেড়শ শয্যার কাজ।