
নারায়ণগঞ্জ (বাংলা ২৪ বিডি নিউজ): নারায়ণগঞ্জে বিদেশ ফেরত যুবক উজ্জল মিয়াকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিন বছর আগে বন্দর উপজেলার উজ্জল মিয়াকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হত্যা করা হয়। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ৪জনের মধ্যে দুইজন সহোদর ভাই ও অপর দুইজন বাবা ছেলে। তারা হলো বন্দরের সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম (৫০) ও তার ছেলে সুজন (২৪), একই এলাকার নূরী মিয়ার দুই ছেলে কালু মিয়া (৪৮) ও আজমান (২৬)। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ৬জন নারী। সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় সুজন আদালতে উপস্থিত ও অপর তিনজন পলাতক ছিলেন। রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত সুজনকে অপর একটি ধারায় আরো তিন বছর সশ্রম কারাদ- সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। মামলায় আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ নারী আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনার বেগম, আঙ্গুরী বেগম, মুক্তি বেগম, লিপি, পারভীন ও মালেকা।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিহত উজ্জলের মা বকুল বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ে ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদেরকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।’
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটার (এপিপি) এম এ রহিম জানান, ২০১২ সালের ১৬ জুন বন্দর সোনাকান্দা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে লুৎফর রহমানের ছেলে উজ্জলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর তদন্ত শেষে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র মতে, উজ্জল কয়েক বছর প্রবাসে ছিলেন। বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর একটি লাইটার নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দিন প্রকাশ্য জনসম্মুখে উজ্জলকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।