
এস এ প্রিন্স, নীলফামারী (বাংলা ২৪ বিডি নিউজ): ‘হিমালয় কন্যা’খ্যাত নীলফামারীতে শীত জেঁকে বসেছে। কনকনে ঠান্ডার সাথে কুয়াশা মেশানো হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে করেছে আরও অসহনীয়। এমতাবস্থায় মধ্য দুপুরেও সূর্যের দেখা মেলা ভার। ফলে, শিশু, রোগগ্রস্ত ও বয়ষ্করা পড়েছেন বেকায়দায়।
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের তিন জেলার ভেতর নীলফামারী একটি। সে কারনে শীতের প্রথম প্রকোপটা নামে এখানেই। ফলে, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এ জেলার সাধারণ মানুষ পড়েছেন নানানটা বিরম্বনায়। অসহনীয় ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য যেমন নেই তাঁদের পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র, তেমনই মোকাবেলা করতে হচ্ছে শীতজনিত নানান রোগ-বালাই। ফলে, এসব কারনে কর্মহীণতা ভর করছে নিত্যদিন।
ইতোমধ্যে সপ্তাহ খানেক ধরে এমন নাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি নীলফামারীর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শীতের তীব্রতা বাড়ায় অসুস্থ্য মানুষজনের ভারে ভীর বেড়েছে সদর আধুনিক হাসপাতালে। সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকস্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন শিশুসহ বয়স্করা। বিশেষ করে শিশু ও হাঁপানি রোগীরা কস্ট ভোগ করছেন সবচেয়ে বেশী। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক। মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিনুর রহমান বলেন, শীতজনিত কারনে শিশুসহ নারী-পুরুষ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকস্ট রোগীর সংখ্যাটাই বেশী। শনিবার দুপুর পর্যন্ত শীতজনিত কারনে ডায়রিয়া ৫, শিশু ৪০, পুরুষ ১০ ও নারী ৭থেকে ৮জন ভর্তি রয়েছেন।
অন্যদিকে, খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষজন গরম কাপড়ের আশায় ছুটোছুটি করছেন সম্ভাব্য জায়গা গুলোতে। সামর্থবানরা হানা দিচ্ছেন অবস্থা ভেদে রেডিমেড কিংবা পুড়নো কাপড়ের দোকানে। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে ওইসব কাপড়ের দামটাও বেড়েছে খানিক। এছাড়াও, গ্রামে-গ্রামে সাধারণ মানুষের খড়-খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য এখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই চোখে পড়ছে। যেখানে শিশু ও বয়স্কদের প্রাধান্যটাই বেশী।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন বলেন, ঢাকায় চাহিদা পাঠানোর পর এ পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও বিতরণ করা হবে।