
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাফরুলে জানিয়া বেগম জলি নামের (১২) এক গৃহকর্মীর মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার হওয়ার পর লাশ নিয়ে থানা ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এলাকাবাসী মৃতদেহ নিয়ে থানায় যায় এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে রাখে। এর আগে এলাকাবাসী মিরপুরে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
কাফরুল থানার এসআই কামরুজ্জামান জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মিরপুর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে তারা কাফরুল থানা ঘেরাও করে।
জানিয়ার স্বজনরা অভিযোগ করেন, মিরপুর-১৩ নম্বরে ন্যাম কোয়ার্টারে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকায় একটি ভবনের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। জানিয়া যে বাসায় কাজ করত সে বাসার সরকারি কর্মকর্তার ছেলে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
কাফরুল থানার ওসি সোমবার দুপুরে জানান, জানিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে। তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ জানায়, জানিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় রোববার। তার মুখ ওড়না দিয়ে পেঁচানো ছিল ও নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ ছাড়া ডান হাত থেঁতলানো, স্তনের নিচে এবং দুই হাঁটুতে জখমের দাগ ছিল। প্রথমে তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত হিসেবে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে তার মা ফুলবানু মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
জানিয়ার স্বজনরা জানান, জানিয়ার মা ফুলবানু ওই ভবনের চতুর্থ তলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আহসান হাবিবের বাসায় কাজ করতেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় চার-পাঁচ দিন ধরে ওই বাসায় কাজ করছিল জানিয়া। রোববার সকালে জানিয়া ওই বাসায় কাজ করতে যায়। এরপরই এ ঘটনা ঘটে। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায়। উত্তর ইব্রাহিমপুরে থাকে তার পরিবার।
কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, জানিয়াকে ওই বাসার ছাদ থেকে কেউ ফেলে দিয়েছে অথবা সে পড়ে গেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।