
(বাংলা ২৪ বিডি নিউজ): শেয়ারবাজারে লেনদেনে বড় ধরনের ধীরগতি তৈরী হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আর্থিক লেনদেন হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বুধবার চলতি সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ৩১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এ নিয়ে টানা ৫ কার্যদিবসে ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হলো।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, গত ৩ মার্চ থেকে ৩০০ কোটি টাকার সামান্য বেশি লেনদেন হচ্ছে ডিএসইতে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। পরবর্তী কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৩০২ কোটি টাকা। এরপর লেনদেন হয়েছে যথাক্রমে ৩১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ৩০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ বুধবার লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
অথচ চলতি বছরের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে আর্থিক লেনদেনে গতি ফিরতে শুরু করে। ১৩ জানুয়ারি চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৭৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া বেশির ভাগ সময়ই ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তা ৩০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে সূচকের সামান্য উত্থানে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। মঙ্গলবারের তুলনায় ৩.৯১ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪৫৭.৮০ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এরফলে টানা তৃতীয় দিনের মতো ডিএসইতে সূচক বেড়েছে। এ সময়ে সূচক বাড়ার পরিমাণ ২২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৮টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১১৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির দর।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। দিনশেষে কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিএমসি কামালের লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ইফাদ অটোস, আমান ফিড, বেক্সিমকো ফার্মা, কাশেম ড্রাইসেল, সামিট পাওয়ার, প্রিমিয়ার সিমেন্ট।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ১১.০২ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ৮৩৪০.৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়ালফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দর।