ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে নতুন তারিখ নির্ধারণ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ। আগামী ৫ বা ৬ জানুয়ারি এ রিট আবেদন করা হতে পারে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বাংলা২৪ বিডি নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। তবে হিন্দু পরিষদ বলছে, পঞ্জিকা অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ ও সরস্বতী পূজা পালন করা সম্ভব নয়।
দুই সিটির ভোট পরিবর্তন করার জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠিও দিয়েছে হিন্দু পরিষদ।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সরস্বতী পূজা ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বাংলা২৪ বিডি নিউজকে বলেছেন, ‘সরকার অনুমোদিত সরস্বতী পূজা ২৯ জানুয়ারি। যদি মন্ত্রিসভা থেকে সরস্বতী পূজার দিন ২৯ থেকে পরিবর্তন করে ৩০ জানুয়ারি করা হয়, তখন আমরা কিছু করতে পারব। এটা ছাড়া কমিশন নির্বাচনের দিন পরিবর্তন করতে পারবে না।’
তবে হিন্দু পরিষদ বলছে, ‘সরকারি হিসাবে নয়, পঞ্জিকা অনুযায়ী তারা ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা উদযাপন করবেন।’ সোমবার হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র বাংলা২৪ বিডি নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনসহ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমরা এতদিন দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা এখন উচ্চ আদালতে যাব, রিট করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতের যে বেঞ্চে রিট করব, সেগুলো এখন বন্ধ আছে। রিট করতে জানুয়ারির ৫ কিংবা ৬ তারিখ আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
সাজন কুমার মিশ্র আরও বলেন, ‘আমরা ৩০ জানুয়ারি পূজা করব। ছাত্র সমাজও জানিয়েছে, তারাও ৩০ জানুয়ারিই সরস্বতী পূজা করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তারাও চাচ্ছে না, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচন হোক।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাথে সাথে ছাত্র সমাজও মনে করে, এটা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। এ জন্য নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য তারাও দাবি জানাচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষাও আছে। ওই পরীক্ষার দিন পরিবর্তনেও উপাচার্যের কাছে চিঠি দেয়া হবে।’