করোনাভাইরাসে নারায়ণগঞ্জে ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২২জন আক্রান্ত হয়েছে পুরো জেলায়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৪১জন। তবে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭১৯জন। আর মারা গেছেন ১২৪জন।
রোববার (১৯ জুলাই) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রমতে, নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে আড়াইহাজারে ৫, বন্দরে ৫, সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩, সদরে ৭ ও সোনারগাঁওয়ে ২জন। এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৭, সদরে ২৩, সোনারগাঁওয়ে ১৭, রূপগঞ্জে ১০, বন্দরে ৩ ও আড়াইহাজারে ৪জন। আক্রান্তদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ হাজার ৯৮৫ জন, সদরে ১ হাজার ৩৩৮ জন, রূপগঞ্জে ১ হাজার ১৩৬ জন, সোনারগাঁওয়ে ৫০২ জন, আড়াইহাজারে ৫৫০ ও বন্দরে ২৩০জন।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। ৩০ মার্চ প্রথম নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগে করোনার উপসর্গ নিয়ে পুতুল নামে এক নারী মারা যায়। ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে করোনার হটস্পট ঘোষনা করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল সকাল থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করেন আইএসপিআর। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রশাসনের উদাসীনতায় মুখ থুবড়ে পড়ে লোকডাউন। পরবর্তীতে ৭ জুন দুপুরে নতুন করে শহরের আমলাপাড়া, জামতলা ও ফতুল্লার রূপায়ন টাউনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রেড জোন ও লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন। কিন্তু তিনদিনের মাথায় এ কার্যক্রমও ভেস্তে যায়। রীতিমত সমালোচনার ঝড় উঠে। ফলে প্রত্যাহার করে নেয়া হয় তিন এলাকার লোক ডাউন। এরপর ২৩ জুন নারায়ণগঞ্জের ১৯টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে এসব এলাকার ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় জানতে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠায় নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ এর কপাল থেকে হটস্পটের তকমা তুলে নেয়া হয়েছে।