নারায়ণগঞ্জে পুলিশের উপর হামলাসহ নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জসিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত ওই আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
১৬ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে তাদের স্ব স্ব বাসা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হোসেন কাজল এবং সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নূর এলাহী সোহাগ ওরফে রাকিব, স্বপন মিয়া, কামরুল হাসান ও মামুনকে।
এর আগে বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। সোমবার ১৬ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ছাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে বিজয় র্যালি বের করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসম শহরের দুই নাম্বার রেল গেইট ও চাষাড়া সাধু পৌলের গির্জার সামনে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলের র্যালিতে বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ
করে র্যালি দুটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়াউল ইসলাম জিয়া, বিএনপি নেতা আকরাম প্রধান, লিংকন, মঞ্জু।