ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট।
কয়েক দিনে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে এখানে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফেরিগুলোর তীব্র স্রোতের মধ্যে মূল চ্যানেল থেকে উজান দিয়ে ঘুরে পার হতে হচ্ছে। এতে পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগায় ট্রিপ কমে এসেছে।
ঘাট এলাকায় যানবাহনের জট লেগেই থাকছে। বিশেষ করে ট্রাকগুলো পার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। এরপর আজ সোমবার (২৭ জুলাই) থেকে ঈদের আগের পাঁচদিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকছে। এতে করে ঘাটে আটকেথাকা ট্রাকের চালক ও সহকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে ট্রাক চালক হাসমত শেখ জানান, তিন দিন ধরে তিনি ডালভর্তি ট্রাক নিয়ে ঘাটে বসে আছেন। এখনো ফেরিতে উঠতে পারেননি। কখন উঠতে পারবেন তাও জানেন না।
তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে বউ, মেয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ফরিদপুরের টেকেরহাটে মাল বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি যাবো। এখন বুঝতে পারছি না, ঈদের আগে বাড়ি যেতে পারবো কিনা।’’
যশোরগামী ট্রাকের চালক আতিয়ার রহমান জানান, ঘাটে থাকা-খাওয়ার টাকা ট্রাকের মালিক দেয় না। দুই দিন ধরে নিজের টাকা খরচ করছেন। পকেটের টাকাও শেষের দিকে।
তিনি জানান, দুই দিন আগে ট্রাক নিয়ে ঘাটে এসেছেন। পারের জন্য টিকেট কাটা হয়ে গেলেও কখন সিরিয়াল পাবেন, সেটাও কে্উ বলতে পারে না।
ট্রাক চালক মো. হাসান মিয়া জানান, টার্মিনালে থাকা সাড়ে তিন শতাধিক ট্রাকের সিরিয়াল করে দেওয়ার লোক নেই। সবাই আগে পার হতে চায়। এ নিয়ে চালকদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।
খুলনাগামী ট্রাকের চালক সুমন শিকদার বলেন, শুক্রবার (২৪ জুলাই) টার্মিনালে চাপ থাকায় তার চিনিবাহী ট্রাক উথুলী পয়েন্টে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। শনিবার (২৫ জুলাই) ট্রাক টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারলেও কখন পার হতে পারবেন, তা জানেন না। বাড়িতে ঈদ করতে পারবেন কিনা তাও জানেন না।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি এম রুহুল আমিন লিমন জানান, রোববার (২৬ জুলাই) রাত থেকে পচনশীল পণ্য ও কোরবানির গরুবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ছাড়া সব ধরনের ট্রাক পারাপার বন্ রয়েছে।