নবম ও দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর কফিনে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
জানাজায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মৃতের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। পরে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শরিক হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।