প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সমস্ত আইন লেখা আছে, সুতরাং বই না পড়লে আইনজীবীও হওয়া যাবে না। আইনজীবীদের বই হলো একদম বাইবেলের মত। বইয়ের প্রতি যদি আইনজীবীদের অনীহা থাকে তাহলে জাজমেন্ট ভালো হবে না।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে আইনজীবী সমিতি ভবন প্রাঙ্গণে রোববার দুই সপ্তাহব্যাপী বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ফিতা কেটে প্রধান বিচারপতি বইমেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যেখানে যাবেন বইটা সাথে রাখবেন। এখন দুঃখের ব্যাপার, হয়তো সাংবিধানিক পয়েন্টে কোনো কথা হচ্ছে, দেখা যায় যে সম্মানিত কোর্টে সংবিধান নিয়ে যাননি। সুতরাং এ রকমভাবে যদি বইয়ের প্রতি অনীহা থাকে তাহলে জাজমেন্ট ভালো হবে না। আমি আশা করি সবাই বই কিনবেন। কিনলেই হবে না, পড়তে হবে। বই পড়ে বুঝে তারপর কোর্টে প্লেস করতে হবে।
দেশের ডিজিটালাইজেশন নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি বলব যে, আগামী ১০ বছর পর আমরা এখন যে ধরনের বই ব্যবহার করি সে ধরনের বই হয়তো থাকবে না। সব হয়ে যাবে ডিজিটাল বুক। এবং দেখবেন আজকে যে মেলা হচ্ছে এ ধরনের মেলাও আর থাকবে না। তখন একেকটা স্টলে থাকবে একেকটা কম্পিউটার। তখন মেলার স্টল থেকে বলা হবে যে, আপনি কোন সফটওয়্যার কিনতে চান। সুতরাং আমি আশা করব, আমাদের ডিজিটাল বই আমাদের বিচার বিভাগকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং ডিজিটালাইজেশন যদি হয় আমাদের জুডিশিয়ারির কাজও অনেক কমে যাবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে বইমেলা করার কারণ হলো, আইনজীবীদের লেখার প্রতি উৎসাহিত করা। সুতরাং আপনারা শুধু বই কিনলেই হবে না, বই পড়তে হবে। এখানে বইমেলায় শুধু আইনের বই নয়, বিভিন্ন লেখকের অন্যান্য বইও পাওয়া যায়। আশা করব, আপনারা বই লিখবেন, কিনবেন এবং পড়বেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে অষ্টমবারের মতো বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে আরও সাতবার বইমেলা বসেছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর দেড় কোটি টাকার বই বিক্রি করা হয়েছিল। আইনজীবীরা ব্যস্ত সময় পার করেন বলে বই কেনার সময় পান না। তাই সুপ্রিম কোর্টে বইমেলা হলে আইনজীবীদের বই কেনা সুবিধা হয় এবং তারা বই পাড়ায় উৎসাহিত হন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সুপারেন্টেন্ড নিমেষ চন্দ্র দাস বাংলা ২৪ বিডি নিউজকে জানান, দুই সপ্তাহব্যাপী ধরে চলবে এই বইমেলা। এবার মেলায় ছোট বড় ৫২টি স্টল রয়েছে।