মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠান চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে এ দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে তিনদিনের সময় বেধে দিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে সেখানে হামলা চালায় মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় দুর্বৃত্তরা অনুষ্ঠান মঞ্চ ও আগতদের বসার চেয়ার ভাঙচুর এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিযুক্ত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ করেন এবং প্রতিবাদ জানান।
পরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি আজ ভূলুণ্ঠিত। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা চিহ্নিত। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগকে নষ্ট করার জন্য লেগে আছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে যদি এ হামলার বিচার না করা হয়, তাহলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যারা জীবিত আছি তারা প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত আছি।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নওয়াব আসলাম হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুণ অর রশীদ প্রমুখ।
পরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ১৪৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।