ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় দাবিকৃত ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় হারুন অর রশিদ ফরাজী নামে এক আইনজীবীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পেশকারের বিরুদ্ধে। অন্য আইনজীবীরা হারুন অর রশিদ ফরাজীকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (১৫ জুলাই) চরফ্যাশন থানায় আইনজীবী হারুন অর রশিদ ও অভিযুক্ত পেশকার কলম দে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুল আরেফিন।
আহত আইনজীবী হারুন অর রশিদ অভিযোগ করেন, তার সহকারী ইউসুফ শিকদার মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেলে জি আর ১০৯ মামলার জামিন আবেদনের জন্য মামলার ফটোকপি চান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার কমল দের কাছে। এ সময় কমল দে ইউসুফের কাছে ৫০০ টাকা দাবি করেন। ইউসুফ ২০০ টাকা দিতে চাইলে কমল দে তাতে রাজি হননি।
আইনজীবী হারুন অর রশিদ বলেন, পরে ইউসুফ আমার কাছে বিষয়টি খুলে বলে। তারপর আমি কমল দের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। এ সময় পেশকার কমল দে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ ও অফিস সহকারী হুমায়ুনসহ ১০ থেকে ১২ জন মিলে সেরেস্তাদারের কক্ষে আমাকে আটকে রেখে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমার চিৎকারে আইনজীবীদের সহকারীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে।
পেশকার কমল দে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আইনজীবী হারুন অর রশিদের সহকারী মামলার মূল নথি চাইলে আমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। কিছুক্ষণ পর ওই আইনজীবী এসে আমার সঙ্গে নথি না দেয়ার জন্য বাগবিতণ্ডায় জড়ান। কিন্তু কোনো ঘুষ চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার রুমেই পেশকার কমলের সঙ্গে মামলার নথি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। কিন্তু আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।
চরফ্যাশন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাহ্ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ হামলার ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুল আরেফিন জানান, এ বিষয়ে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।