মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমি বল্লার চাকে ঢিল মেরেছি। রাজাকারের তা যা পেয়েছিলাম তা যাচাই-বাছাই না করেই বেআক্কেলের মতো প্রকাশ করে ফেলেছি। এটি বোকামি হয়েছে, আমি দুঃখিত।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ) দুপুরে সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছি। আমার নাম যদি রাজাকারের তালিকায় আসত, যেভাবে আমার কোনো সহকর্মীর নাম এসেছে। যেভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিবাদ এসেছে। আমি ঠিক একইভাবে কষ্ট পেয়েছি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে, এটি অসম্মানজনক, এটি দুঃখজনক। আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি, ক্ষমা চেয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, রাজাকারদের তালিকা হবে না। তারা যদি মনে করেন, হুঙ্কার দিলেই পিছিয়ে যাব তা হবে না। আমরা একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীকে মোকাবিলা করেছি, আপনারা পরাজিত শক্তি। আপনাদের মোকাবিলা করতে পারব না ভাববেন না।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওয়াদা করে যাচ্ছি, রাজাকারদের তালিকা হবেই। যেন তালিকা নির্ভুলভাবে হয় সেজন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কমিটি করব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা আর প্রকাশ করব না।’
নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন-অর- রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন-অল- রশিদসহ অন্যরা।
এর আগে সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলার ১১ টি উপজেলায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।