মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জানুয়ারি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। এজন্য ওয়েবসাইটের পুরানো তালিকা স্থগিত করা হবে। যাচাই-বাছাই করে অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী শনিবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার খাজুরায় শহীদ মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আগামী প্রজন্মকে যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বের কাহিনি জানাতে হবে, ঠিক তেমনই হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল শামসের হত্যা, নারী নির্যাতন, দমন, পীড়ন আর তাদের পৈশাচিকতা সম্পর্কেও অবহিত করতে হবে। যাতে করে তারা উভয়পক্ষের কথা জেনে সামগ্রিক মুক্তিযুদ্ধকে বুঝতে পারে। না হলে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ আর বীরত্বের কথা ভুলে যাবে।
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার এই প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছরই ক্ষমতায় ছিল মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা গং। আর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিনবছর এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা ১৬ বছর। কিন্তু তারা দেশের জন্য যে কাজ করেছে, তার চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচগুণ বেশি কাজ হয়েছে।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন,জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, আপনারা নিজ নিজ সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ভালোভাবে শিক্ষা দেন। তারা যদি ‘জিন্দাবাদের’ স্লোগানে লিপ্ত হয়, তাহলে আমাদের আর ইজ্জত থাকবে না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে খাজুরা এমএন মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত এ স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।