রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। সাহেদের সঙ্গেও সখ্য ছিল সাবরিনার। তারা একে অপরকে আগে থেকেই চিনতেন। করোনা পরীক্ষার সনদ জালিয়াতির তদন্ত করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এসব তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
সাহেদ ও সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদকারী একটি সূত্র বলছে, সাহেদ-সাবরিনাকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তারা একে অপরকে দেখে চিনে ফেলেন। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
সূত্র জানায়, জেকেজির উত্থানের নেপথ্যে বড় একটি চক্র কাজ করেছে বলে জানা গেছে। ওই চক্রের মাধ্যমেই ডা. সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি নেন। রিমান্ডে জেকেজিতে করোনা জালিয়াতির তিন মূলহোতাকে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের বেশ কিছু তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য তারা এই মুহূর্তে প্রকাশ করছেন না।
রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাদিয়া ফারজানা বলেন, সাহেদ রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। করোনা টেস্টের প্রতারণা, অনুমোদন নিতে কে কে সহায়তা করেছেন—এর বিস্তারিত বলেছেন রিমান্ডে।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বলেন, শনিবার রাতে সাহেদের উত্তরার অফিস ও সোনারগাঁওয়ের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিদেশি মদ, তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় ১২ জুলাই।