প্রিয়তমা স্ত্রীর (প্রথম স্ত্রী আয়েশা আবেদ) কবরেই শায়িত হলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় মরহুমের একান্ত ঘনিষ্ঠজনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মরহুমের ছেলে সাবেরান আবেদ, মেয়ে তামারা আবেদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ।
এর আগে, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয় স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ।
প্রথমেই রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের পক্ষে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেজর আশিকুর রহমান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান উপ-সামরিক সচিব কর্নেল সাইফুল্লাহ পিএসসি। তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রায় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
পরে দুপুর পৌনে ১টায় স্টেডিয়ামেই স্যার আবেদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ।
জানাজার সময় আর্মি স্টেডিয়ামের অর্ধমাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। পরে মরহুমের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
জানাজার আগে স্যার ফজলে হাসান আবেদের ছেলে সাবেরান আবেদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সবাই অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ব্র্যাক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এর জন্য আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনারা কষ্ট করে এসেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আমার বাবা সবসময় মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তারপরও যদি কারও কাছে কোনো দাবি থাকে, আমাকে জানাবেন।’
এ সময় বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদের ছেলে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে, তিন নাতি-নাতনিসহ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।