রাজধানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে স্থাপিত একটি স্মার্ট ল্যাম্পপোস্ট পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইনে এটি উদ্বোধন করেন।
‘ই-ডটকো বাংলাদেশ’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান এটি স্থাপন করে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট সকলকে একসাথে নিয়ে দেশের নাগরিকদের নির্বিঘ্ন নেটওয়ার্ক সংযোগ ও আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী স্মার্ট ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের এটি প্রথম সম্মিলিত প্রয়াস।
এ ধরনের স্মার্ট ল্যাম্পপোস্টের মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় বিনামূল্যে ওয়াইফাই, নিরাপত্তা নজরদারি, আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনার জন্য স্মার্ট বিন, রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং করা যাবে।
উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসিকে একটি স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় বাইসাইকেল রাইড শেয়ারিং চালু করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ইত্যাদি সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। এছাড়া আগামী চার মাসের মধ্যে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের উদ্বোধন করা হবে। খুব দ্রুত আমরা স্মার্ট এলইডি লাইট স্থাপন করতে যাচ্ছি। আমরা সবকিছুতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায় ‘ডিজিটাল গরুর হাট’ উদ্বোধন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির নগরভবনের দোতলায় একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হবে। নাগরিক সেবা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কমান্ড সেন্টার থেকে নগরের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যাবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, যে শহর যত বেশি বাইসাইকেল চালানোর উপযোগী সে শহর ততটা স্মার্ট, যেমন আমস্টার্ডম। স্মার্ট সিটি বাস্তবায়ন করতে হলে, শহরের বাতাসের গুণগত মান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বাইসাইকেল লেন, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো, গণপরিবহন, জনস্বাস্থ্য, গণশিক্ষা ইত্যাদির দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই এবং ই-ডটকো বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।