• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

পরিবারের সবার পাসপোর্ট না দিলে যেতে পারবেন না শারমিন ও তানিয়া : হাইকোর্ট

বাংলা ২৪ বিডি নিউজ:
আপডেট : বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

পরিবারের সবার পাসপোর্ট জমা না দিলে হাইকোর্ট থেকে যেতে পারবেন না দুই বোন শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ।

 

বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক (কোম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

 

শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল) কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিনের মেয়ে। খবির উদ্দিন আবার অর্থপাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের অন্যতম সহযোগী।

 

পি কে হালদার ও খবির নিজে তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে প্রায় দুইশো কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

 

এ অভিযোগের ভিত্তিতে খবিরের দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাদের হাইকোর্টে হাজির করা হয়। সেখানে শুনানির সময় আদালতে দুই বোন তাদের পাসপোর্ট জমা দেন। আর পরিবারের বাকি নয়জনের পাসপোর্ট জমা দিতে বলেন আদালত। অন্যথায় তারা আদালত থেকে বের হতে পারবেন না।

 

আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুই বোনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু তালেব।

 

শুনানির শুরুতেই আদালত বলেন, আজকে তো বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল না।

 

এসময় আইনজীবীকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, উনারা তো এখন দেশেই আছেন। দুইশো কোটি টাকা নিয়ে কানাডা পালাতে চেয়েছিলেন। এখন আবার সময় চেয় আবেদন করতে এসেছেন।

 

হাইকোর্ট আরও বলেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ৫ শতাংশ টাকা দেবেন। আপনারা দিতে থাকুন। অভ্যাস হোক। পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাসতো হয়েছে। টাকা দিয়ে আসুন। আর পুরো পরিবারের পাসপোর্ট জমা দিন। তা না হলে দুই বোনকে এখান (হাইকোর্ট) থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।

 

এর আগে বুধবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদকে (৩৭) গ্রেফতার করে র‍্যাব। রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

একমাস আগে ঢাকায় এসে আত্মগোপনে থেকে তারা কানাডায় পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানায় র‍্যাব।

 

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আল আমিন বলেন, পিএলএফএসএল কোম্পানির প্রায় দুইশো কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদার ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার আছেন। তার দুই নারী সহযোগী বাংলাদেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর র‍্যাবের নজরদারি চলছিল। এরই ভিত্তিতে ওই দুই নারী সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।


এই বিভাগের আরও সংবাদ