• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগের নেপথ্যে

ডেস্ক সংবাদ :
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২

ক্ষমতাগ্রহণের দেড় মাসও পার হয়নি। তার আগেই পদত্যাগ করতে হলো যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে। মাত্র ৪৫ দিন ডাউনিং স্ট্রিটের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। এর ফলে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন ট্রাস।

 

কিন্তু কেন? কী এমন হলো যে, এত আশা জাগিয়ে নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও অল্প সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করতে হলো তাকে?

 

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সামনে নিজের পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া ভাষণে ট্রাস বলেন, যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে পিছিয়ে ছিল এবং তিনি তার দলের সাহায্যে এটি পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

 

তিনি বলেন, ‘কম ট্যাক্স উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতি’র জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল আমাদের সরকার। ট্রাস বলেন, আমি স্বীকার করছি… যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তা দিতে পারবো না।

 

একটি বিশাল অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীলতার মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন লিজ ট্রাস।

 

মাত্র দেড় মাসের শাসনকাল মোটেও স্বস্তিতে কাটেনি ট্রাসের। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তিনদিন পরেই মারা যান যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার শেষকৃত্য এবং নতুন রাজার ক্ষমতাগ্রহণের নানা অনুষ্ঠানাদি সামলাতে হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে।

 

তবে ট্রাস প্রশাসনের আসল সমস্যার শুরু গত ২৩ সেপ্টেম্বর। সেদিন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বিশাল ট্যাক্স ছাড় দিয়ে মিনি-বাজেট ঘোষণার পরপরই যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক বাজারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দেয়।

 

বিতর্কের মুখে গত ৩ অক্টোবর রেকর্ড ট্যাক্স ছাড়ের সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছু হটেন ট্রাস ও কোয়ার্টেং। কিন্তু তাতেও সমালোচনা থামেনি। শেষপর্যন্ত গত ১৪ অক্টোবর পদত্যাগ করেন কোয়ার্টেং। তার স্থলাভিষিক্ত হন আরেক কনজারভেটিভ নেতা জেরেমি হান্ট। দায়িত্ব পেয়েই তিনি কোয়ার্টেং, তথা লিজ ট্রাসের বেশিরভাগ পরিকল্পনা বাতিল করে দেন।

 

এছাড়া হাউজ অব কমনসে ফ্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে গতরাতের ভোটাভুটিতেও ব্যাপক নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়। এই বিতর্কের মধ্যেই পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ওপর চাপ আরও বেড়ে যায় এবং শেষপর্যন্ত তিনিও সরকারপ্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

সূত্র: বিবিসি


এই বিভাগের আরও সংবাদ