ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ন কবীরের আদালতে ভুক্তভোগীর ছেলে আহমদ রাফি বাদী হয়ে মামলা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হেলাল উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ মামলার আসামিরা হলো হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-১ অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডা. নাদিম আহম্মেদ, ডা. তানিয়া ও ডা. আরাফাত।

এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে আদালত রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের সার্জারি ইউনিট-১ এর ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের অধীনে ভর্তি হন মারুফা বেগম মেরী নামের এক নারী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে ১৮ ডিসেম্বর তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের আধা ঘণ্টা পর ডা. নাদিম জানান, রোগীর হার্নিয়া ছিল, অপারেশন করা হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্নিয়ার বিষয়ে রোগীর স্বজনদের কিছু জানাননি তারা।

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, অপারেশনের সময় ওই রোগীর গাট ছিদ্র করে ফেলা হয়। তবে বিষয়টি গোপন রাখেন চিকিৎসকরা। গাট ছিদ্রসংক্রান্ত জটিলতায় রোগীর শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে জ্বর ও ডায়রিয়া হয় এবং পেট ফুলে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা বিষয়টি নিয়ে ভুল স্বীকার করেন। অপারেশনের ছয় দিন পর ২৪ ডিসেম্বর রোগীর গাট ছিদ্রের বিষয়টি জানানো হয়। পরে দ্বিতীয়বার অপারেশনের সিদ্ধান্ত হয়। চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবেন বলে জানান চিকিৎসকরা। এরপর আবার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের ২৪ ঘণ্টা পর ৩ জানুয়ারি আইসিইউ থেকে রোগীকে কেবিনে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আবার আইসিইউতে রাখা হয়। পর দিন ৪ জানুয়ারি মারুফা বেগম মারা যান।