• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

কিশোরগঞ্জে মদ খেয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪জনের মৃত্যু

বাংলা ২৪ বিডি নিউজ:
আপডেট : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাওয়াত খাওয়া শেষে বিষাক্ত মদপানে দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় কুলিয়ারচর পৌরস ভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

 

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ভোরের দিকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক-২ জহির রায়হান জজ মিয়া ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গোবিন্দ দাস মারা যান। এরআগে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে তাদের সঙ্গে থাকা রিকশাচালক শাহজাহান অসুস্থ হয়ে মারা যান।

 

নিহতদের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে কুলিয়ারচর উপজেলার কুলিয়ারচর বাজারে একটি অফিসে বসে দাওয়াত খাওয়া শেষে সবাই একসঙ্গে মদপান করেন। পরদিন শনিবার তাদের সঙ্গে থাকা বাজিতপুর সরারচর এলাকার রিকশাচালক শাহজাহান অসুস্থ হয়ে মারা যান। সোমবার ভোরের দিকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক-১ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক-২ জহির রায়হান জজ মিয়া এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্থানীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গোবিন্দ দাস মারা যান।

 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের বোন জামাই মো. শাহজাহান বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিন একজন স্থানীয় জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। শুক্রবার রাতে বাজারে একটি দাওয়াত খাওয়া শেষে ৬-৭ জন বন্ধু মিলে মদপান করেন। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তিনি মারা যান। আমাদের ধারণা তাকে মদের সঙ্গে বিষজাতীয় কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে।’

 

নিহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান জজ মিয়ার চাচাতো ভাই সুমন বলেন, আমারও ধারণা মদের সঙ্গে বিষজাতীয় কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করেন তিনি।

 

কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিলন রায় বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে গিয়াস উদ্দিন নামের একজন আওয়ামী লীগ নেতা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসেন। তখন আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। ওইসময় তার চোখ দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা লোকদের জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তারা মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে পরে তার স্বজনরা বিষয়টি স্বীকার করেন। আমাদের ধারণা, চারটি মৃত্যুই একটি সূত্রে গাঁথা।’

 

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনো কারও পরিবার থেকে অভিযোগ পাইনি। আমরা নিজ উদ্যোগেই ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। তবে কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা ডাক্তাররা বলতে পারবেন। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’


এই বিভাগের আরও সংবাদ